নদীর বুকে সূর্যাস্তের রূপকথা
পদ্মা নদীতে ভ্রমণের সেই সন্ধ্যা ছিল সত্যিই এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। আমরা বোট নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। তখনও আকাশে সূর্য ছিল, আলো ঝলমলে দৃশ্য নদীর জলে প্রতিফলিত হচ্ছিল। বোট আস্তে আস্তে এগোতে লাগল। এদিকে সূর্য ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছে।
আকাশ জুড়ে নানা আকৃতির মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। সূর্যের আলো মেঘের গায়ে পড়ে সৃষ্টি করছে এক অদ্ভুত সৌন্দর্য। কখনো সোনালি, কখনো কমলা, আবার কখনো লালচে রঙে মেঘগুলো ঝলমল করছে। মুহূর্তের মধ্যে দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর সূর্যের আলো আরও ম্লান হয়ে এলো। সামনে মেঘগুলো অন্ধকার আর কালো রঙ ধারণ করল। দূরে থাকা গাছগুলোকে যেন অদ্ভুত সুন্দর ছায়ামূর্তির মতো লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমরা অন্য কোনো রহস্যময় গ্রহের দিকে এগিয়ে চলেছি।
অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই সূর্য অস্ত গেল। ঠিক সেই মুহূর্তে মাথার উপর দিয়ে একটা বড় আকারের প্রজাপতি, হয়তোবা মথ, উড়ে চলে গেল। আকাশে চাঁদ দেখা দিল, চারপাশে এক অদ্ভুত প্রশান্তি নেমে এলো।
মাত্র অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রকৃতি তার কত রূপ দেখিয়ে দিল! সোনালি আলো থেকে অন্ধকার, অন্ধকার থেকে চাঁদের কোমল আলো—সবই যেন এক স্বপ্নের মতো লাগছিল। নদীর উপর দিয়ে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস শরীর আর মনকে পরিপূর্ণভাবে জুড়িয়ে দিল।

কোন মন্তব্য নেই: